শান্তিনিকেতন ভ্রমণ

রাকা নাথ,

কলকাতা

আজ ১৪ই মে ২০২৫ সালের বুধবার সকাল ছটার সময় গাড়ি বুক করে ইকোপার্কের 4নম্বর গেটের সামনে নামলাম। সেখানে আমার বাবার ছাত্র, আমার দাদা হয়। উনি দাড়িয়ে ছিলেন। উনি আমাদের উনার নিজস্ব গাড়িতে তুললেন। উনার নাম পার্থ মুখার্জী। উনার বন্ধু অসিম দাদা ও আমাদের সাথে ছিলেন। উনি আমাদেরকে টিফিন করানোর জন্য "গুস্করায়" 'ইন্ডিয়ান ধাবাতে' নিয়ে ঢুকলেন। ঐ ধাবাতে আমরা খেলাম, "কচুড়ি", " ছোলার ডাল", "আলুর পরোটা আর "ল্যাঙচা"। টিফিন খেয়ে দাদা ' ওর গ্রামে' নিয়ে গেলো। 'ওর গ্রামে যাওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে দেখি ধান শুকতে দিয়েছেন এখানকার আদিবাসিরা। ওখানে যারা দেখা শুনা করে ওদের মধ্যে দুজন আন্টি আছেন। ঐ আন্টিগুলোর মধ্যে একজন আন্টি আমাদেরকে লেবুর সরবত দিলো। এছাড়া ওখানে দেখলাম, সবেদা লিচু আমলকি, বাদাম ও বিভিন্ন রঙের জবা ফুলের গাছ। 🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌳🌳

এছাড়া ওখানে একটি শিব মন্দির ও বাউল গানের স্টেজ রয়েছে। এখানে নাকি বাউল গানের আসর বসে। তারপর ওর গ্রাম থেকে দাদা আমাদেরকে ওনার নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলো। 'পিরিতি নগরে' দাদার বাড়ি আছে। ওনার বাড়িতে লাউ, লেবু ও কুমরো গাছ ইত্যাদি দেখলাম। তারপর উনি আমাদেরকে রিসোর্টে নিয়ে এলো। আমাদের রেস্টুরেন্টের নাম "কায়া রিসোর্ট"। পার্থ দা আজকে আমাদের কে সোনাঝুরির হাঠে নিয়ে আসছিল। কিন্তু, বন্ধ থাকার জন্য দাদা আমাদেরকে " কঙ্কালী মায়ের মন্দিরে নিয়ে গেলো। মায়ের মন্দিরে যাওয়ার পথে একজন গ্রাম্য মহিলা অনেক গুলো গরু ও ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরছে। কঙ্কালী মায়ের মন্দিরে মায়ের ছবি পুজো হয়। সেখানে প্রাকৃতিক ভাবে শিবলিঙ্গ তৈরী হওয়া একটি বটগাছ দেখলাম। আর দেখলাম একটি জলাশয়। সেখানে নাকি মায়ের কঙ্কাল পড়েছিল। কঙ্কালটি নাকি এখনো দেখতে পাওয়া যায়, জল শুকিয়ে গেলে। আর দেখলাম 'শিব মন্দির ও 'হনুমান মন্দির'। আমি ওখান থেকে দশ টাকা দামের একটি মায়ের ছবি কিনলাম। তারপর এলাম "বিশ্ব ভারতীর" সামনে। 'বিশ্ব ভারতী' যখন ক্রস করলাম, তখন পার্থ দা আমাকে স্প্রাইটের বোতল কিনে দিলো। এখন রিসর্টে ফিরে যাচ্ছি।

আজ বৃহস্পতিবার আমরা সবার প্রথমে দেখলাম বিশ্ব ভারতীর অপজিটে বটগাছ। আমাদের টোটো ড্রাইভার বটগাছের নাম বলল, "তিন পাহাড়" ওখানে "দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর" ধ্যান করতেন তারপর আমরা দেখলাম বিশ্ব ভারতী ক্যাম্পর্স, ভুবন ডাঙার মাঠ, নন্দলাল বসুর বাড়ি, অমত্য সেনের বাড়ি, রামকিঙ্কর বেইজের সিমেন্টের মূর্তি, গ্লাস হাউস, একটা বাড়ির মধ্যে মসজিদ মন্দির ও চার্চ দেখলাম। তারপর দেখলাম বিখ্যাত "তালগাছ কবিতার" "তালগাছটি "। আমাদের টোটো ড্রাইভার আমাদেরকে এই সমস্ত কিছু দেখিয়ে আমাদের গাড়ির সামনে নিয়ে এলো। আমি আর মা বিকেল ৩.৩০ নাগাদ সোনাঝুরির হাঠে গিয়েছিলাম টোটো করে। আমাদের টোটো ড্রাইভারের নাম 'সনাতন মন্ডল। 'আমি হাট থেকে একটি শাড়ি, ফটো এবং তিনটি ব্যাগ কিনলাম। আর টুকটাক জিনিস কেনার ইচ্ছা ছিল কিন্তু প্রকৃতির চোখ রাঙানির জন্য আমরা ভয়ে পেয়ে রিসোর্টে ফিরে এলাম। কাল দুপুরে খেয়েদেয়ে আমরা বাড়িতে ফিরে যাবো।

🏠🏠🏠🏠🏠🏠🏠