সেলাম বন্ধু
শুভজিৎ মান্না ,
মুকুন্দপুর,দক্ষিণ ২৪ পরগনা
একটা মানুষ ছিল, জেদি আর একগুঁয়ে
এক পুত্র দুইখান মিষ্টি মেয়ে -
ভাগ্য দোষে বিপত্নিকের জীবন ,
তবুও সবাইকারে ভাবতো আপনজন।
আমার বেড়ে ওঠার অনেকখানি
সময় জুড়ে কাছের থেকে চিনি।
সম্পর্কটা? -বলছি পরে দাঁড়ান,
তবে বন্ধু; আবার বিপদে দারোয়ান।
বয়স হয়তো অসম কিছু বেশ,
তাতে কি আর বন্ধুত্ব হয় শেষ?
ছোটবেলায় পুকুরে স্নানের বেলায়
শেখায় সাঁতার দারুন অবলীলায়,
কদ্দূর যে পুঁথির বিদ্যা জানিনা তা -
তবে ছিল দারুন জ্ঞানের প্রাচুর্যতা।
নিজের পোশাক নিজেই পরিষ্কার
দেখলে সবাই ভাবতো স্কুল মাস্টার।
স্কুলে নাহোক আমার কাছে তিনি
শিক্ষকের চেয়ে কম কিছু নন জ্ঞানী।
বৃদ্ধ তবে আনন্দেতে মত্ত
গান চললেই আরম্ভ তার নৃত্য
আবার মঞ্চে উঠে দৃপ্তকন্ঠে ভাষণ
ভয় ডর-হীন অবিচলের আসন
এবার তবে খুলেই দিই পরিচয়
উনি আমার মায়ের কাকা হয়।
আদর করে মেজ দাদু ডাকতাম
কি জানি তার আজ কোথা যে ধাম!
বললাম না! একগুঁয়ে যে বড়
বাঁশের চেয়ে কঞ্চি অনেক দড়-
একদিন তাই উঠল যে ফোন বেজে
মেজ দাদু নাকি হারিয়েছে নিজে নিজে।
যে নিজে হারায় সাধ্যিকে তারে পায়
হায়রে কপাল আমিও অসহায়!
চোখের জলে স্মৃতির ছবি এঁকে
কি আর হবে তাকিয়ে পথের দিকে!
জানিনা মোর বন্ধু যে কোন খানে,
তারে খুঁজি স্মৃতি রোমন্থনে।
অভিমানের পাহাড় বুকে জমে
আশা- বুঝি সুখে আছো শান্তি ধামে।।