প্রকৃতির রুদ্ররূপ (সন্দেশখালি, উত্তর ২৪ পরগনা)
গৌরাঙ্গ বন্দ্যোপাধ্যায়,
কলকাতা
আজ থেকে মোটামুটি ৩১ বছর আগের কথা। গত বছর ২০২৪ সালে সন্দেশখালি নিয়ে
অনেক চর্চা হয়েছে, দিনের পর দিন বিশেষ কিছু কারণে ঐ স্থান খবরের কাগজের ও
নিউজ চ্যানেলগুলির আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, কিন্তু সম্পূর্ণ
অন্য প্রসঙ্গে সন্দেশখালি সেই সময় কিছুদিনের জন্য খবরের শিরোনামে উঠেছিল।
এবং আমার জীবনের একটি বিশেষ দিন তার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল - সেই ঘটনার
কথাই আজ বলব।
সেটা ছিল ১৯৯৪ সালের মে মাস। আমি ততদিনে বেশ কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন স্থানে
সোলার পাওয়ার প্লান্ট, সোলার সেল, ইত্যাদি ইন্স্টল্ করে এইসব কাজে কিছুটা
অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। বিভিন্ন প্রত্যন্ত স্থানে বেশ কয়েকদিন ও রাত
কাটানোর ঘটনাও আমার অভিজ্ঞতার ঝুলি পূর্ণ করেছে। নানা রকম বিপদের
মুখোমুখি হয়েও মাথা ঠান্ডা রেখে সেসব বিপদ অতিক্রম করে এসেছি। কাজেই
আত্মবিশ্বাসে খুব একটা ঘাটতি নেই বলেই নিজে মনে করি - 'যে কোন
পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারব ও কাজ শেষ করে আসতে পারব'। এইসময় আমি অফিস
থেকে নির্দেশ পেলাম যে সন্দেশখালি হেলথ সেন্টার এলাকায় উপযুক্ত স্থান
নির্বাচন করে সেখানে সোলার সেল বসিয়ে হেলথ সেন্টার ও সংলগ্ন স্টাফ
কোয়ার্টারে বিদ্যুৎ উৎপন্ন ও সরবরাহ করতে হবে। তাই অ্যাসিস্ট্যান্ট
প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসাবে আমি আগে একা গিয়ে সব ব্যবস্থা করে রাখব, তার
দিন দুয়েকের মধ্যেই টিমের অন্যান্যরা সব যন্ত্রপাতি ও আনুষঙ্গিক
জিনিসপত্র নিয়ে আমার সঙ্গে যোগ দেবে।
আমি আমার বালির বাড়ি থেকে ভোরবেলা বেরিয়ে লোকাল ট্রেন ধরে দমদম হয়ে
বারাসতে এসে সেখান থেকে বাসে ৩ ঘন্টার মত জার্নি করে ন্যাজাত নামক গঞ্জে
এসে পৌঁছলাম। সেখানের হোটেলে বেলা ১০টা থেকেই ভাত পাওয়া যায়। প্রায় ১১টা
বেজে যাওয়ায় আমি ব্রেকফাস্টের পরিবর্তে একেবারে লাঞ্চ করে নিলাম। ভাত,
ডাল, তরকারি আর অপূর্ব স্বাদের পার্শে মাছের ঝাল। তারপর সন্দেশখালি যাবার
জন্য বিদ্যাধরী নদীর তীরবর্তী ঘাটে এসে দাঁড়ালাম। এখানে নদীটি বেশ সরু ও
নিস্তরঙ্গ। অন্তত গোটা পাঁচেক নৌকা নদীর এপার ও ওপারের ঘাটে যাতায়াত করে
যাত্রী পরিবহন করে। ভাড়া মাত্র ৫০ পয়সা জনপ্রতি। আমাদের নৌকার দুজন মাঝি
- মধ্যবয়স্ক হাসেম ও তার তরুণ পুত্র কাশেম। একজন দাঁড় বায়, অন্যজন হাল
ধরে। প্রতি ট্রিপে নৌকায় ৩০ - ৪০ জন মানুষ যাতায়াত করে। কেউ কেউ আবার
সাইকেল নিয়েও নৌকা পারাপার করে। আমিও অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে বিদ্যাধরী
নদীর অপর পারে পৌঁছলাম।
ওপারের ঘাট থেকে সাইকেল রিকশা নিয়ে প্রায় ৩ কিমি দূরের সন্দেশখালি হেলথ
সেন্টারে পৌঁছলাম ১২টার আশেপাশে। হাসপাতালে তখন অসংখ্য রোগীর ভিড়,
ডাক্তারবাবুর টেবিল অবধি পৌঁছতেই ১৫ - ২০ মিনিট লেগে গেল। এর মধ্যে
দুপুরের রোদের তেজ হঠাৎ কমে এসেছে, তাকিয়ে দেখি আকাশে মেঘ জমতে শুরু
করেছে। কালবৈশাখী হবে হয়তো বিকেলের দিকে। ঐ হাসপাতালে তখন একজন
ডাক্তারবাবু (আমার থেকেও ছোট, অনুর্ধ ৩০) এবং দুজন নার্স (একজন মধ্যবয়স্ক
ও আরেকজন ত্রিশের কোঠায়) মিলে অত রোগীর চিৎকার, চেঁচামেচি,
ক্যালরব্যালোরের মধ্যেও কিভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে চিকিৎসা করে চলেছেন তা
দেখে আমি রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম।
এনারা তিনজন এখানে কোয়ার্টারে থাকেন, অন্য ক্লাস ফোর স্টাফ সহকারীরা
স্থানীয় মানুষ। দুপুরের পরেই তাঁরা নিজেদের গ্রামে ফিরে যান। বেশ
কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর দুপুর আড়াইটার সময় ওনারা ফ্রি হলে আমি ওনাদের সঙ্গে
কথা বলে সমস্ত কাগজপত্রের কাজ শেষ করলাম। যেহেতু আমি ন্যাজাত থেকে
দুপুরের খাবার খেয়ে এসেছিলাম তাই ওনারা যখন বিকেল চারটে নাগাদ কোয়ার্টারে
খেতে গেলেন তখন আমি আশেপাশের এলাকাটা ঘুরে দেখতে লাগলাম যাতে দ্রুত সোলার
ইন্সটলেশনের পরিকল্পনা ঠিকঠাক সেরে নিতে পারি।
দেখলাম মাঝখানে হেলথ সেন্টারকে রেখে চারদিকে চারটে স্টাফ কোয়ার্টার।
তার মধ্যে একটি পুরো ভাঙা, পরিত্যক্ত ও ঝোপঝাড়ে পূর্ণ। বাকি তিনটের
অবস্থাও তথৈবচ। অবশ্য হেলথ সেন্টার বিল্ডিংটি তুলনামূলকভাবে ভাল অবস্থায়
রয়েছে। সবকটিই একতলা বিল্ডিং এবং কোনটিতেই ছাদে যাবার সিঁড়ি নেই। ঐ
এলাকায় একটিমাত্র টিউবয়েল রয়েছে যেটি পানীয়জলের একমাত্র উৎস। হেলথ
সেন্টারের বাউন্ডারির মধ্যে একলপ্তে অনেকটা খোলা জায়গাও নেই যেখানে সোলার
সেল বসানো যেতে পারে। তাই হেলথ সেন্টারের ছাদেই সোলার সেল বসানোর কথা
চিন্তা করলাম।
দুপুরের পর থেকেই মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে ও কখনো বা পাঁশুটে রোদ উঠছে।
তাই কাজ এগিয়ে রাখার তাগিদে সেদিন বিকেলেই হেলথ সেন্টারের ছাদে উঠলাম।
ডাক্তার ভাই ও জুনিয়র নার্স দিদি নিচে মই দুপাশে ধরে রাখল। আমি ছাদে উঠে
কয়েক পা এগোতেই শ্যাওলায় পা স্লিপ করে পড়লাম। তবে বেশি আঘাত লাগেনি।
তারপর খালি পায়ে পা টিপে টিপে গোটা ছাদ ঘুরে মাপ নিয়ে পিলার চিহ্নিত করে
নিচে নেমে এলাম। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ঝমঝম করে জোর বৃষ্টি নামল। একটু
পরেই চারদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার। প্রত্যেক কোয়ার্টারে একটা করে হ্যারিকেন।
ডাক্তারের কোয়ার্টারে একটা ও হেলথ সেন্টারে দুটো ইমার্জেন্সি লাইট
(যেগুলি দুই নার্স দিদি ব্যবহার করে) ছাড়া গোটা চত্বরে আর কোথাও কোন আলো
নেই।
আমার রাতের আস্তানা হয়েছিল ডাক্তার ভায়ের কোয়ার্টারে একটা ক্যাম্প খাটে।
রাতে আমরা সবাই বড় নার্স দিদির কোয়ার্টারে খিচুড়ি খেয়ে ছাতা মাথায় টর্চ
হাতে যে যার আস্তানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম। সারারাত বৃষ্টি হল, কখনো জোরে,
কখনো আস্তে। আর তার সঙ্গে ঝড়। পরদিন সকাল থেকে সেই বৃষ্টি থামলো তো না-ই
উল্টে বাড়তে লাগল। হাসপাতাল চত্বরে জল জমতে শুরু করল। একমাত্র
ল্যান্ডফোনটিও নিথর হয়ে গেল। সেদিন রোগীর সংখ্যা খুব কম। অন্যদিনের
কমপক্ষে তিনশো জন রোগীর তুলনায় সেদিন সারাদিনে রোগীর সংখ্যা হল ১৫। সেদিন
সকাল থেকেই রেডিওতে সতর্কবার্তা দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের। গ্রামের
লোকদের কাছে যা শুনলাম তাতে অবস্থা বেশ ভয়াবহ মনে হল। আমি অফিসের সঙ্গে
কোন ভাবেই যোগাযোগ করতে পারলাম না। বিরাট দুশ্চিন্তায় দিন কাটল। রাতে
আমার মত ঘুম কাতুরে মানুষেরও ছেঁড়া ছেঁড়া ঘুম হল।
সকালে উঠে বাইরে এসে দেখি টিউবওয়েলের জল বেরোনোর নলের মুখ থেকে মাত্র
একফুট নিচে উঠে এসেছে বন্যার জল। শুনলাম বিদ্যাধরী নদী উপচে চারদিকে
বন্যা হয়ে গেছে। আমায় ডাক্তার ভাই বলল "তুমি আজই দিনের বেলা যেভাবে হোক
কষ্ট করে ওপারে গিয়ে অন্তত বসিরহাট পর্যন্ত চলে যাও। নাহলে বিপদে পড়বে।"
আমি বললাম “টিউবওয়েলের জল না পেলে তোমরা খাবে কি?" ডাক্তার বলল "আমরা
প্রয়োজনে জল ফুটিয়ে কদিন চালিয়ে নেব। আমাদের এসব বিপদ সামলে নেওয়ার
ক্ষমতা আছে। তুমি শহুরে মানুষ। পারবে না।" আমার তখন উভয় সংকট। এখানে
থাকলে পেট খারাপ হয়ে মারা যাবার প্রভূত সম্ভাবনা। আবার রাস্তায় বেরোলেও
বিপদ কিছু কম নেই। আদৌ বাড়ি ফিরতে পারব কিনা সন্দেহ। শেষ অবধি মনে জোর
এনে রিস্ক নিয়ে ওখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম সকাল আটটা নাগাদ।
তখন ঝড়ের বেগ বেশ খানিকটা কমে গেছে। তবে বৃষ্টি থামেনি। সন্দেশখালি হেলথ
সেন্টার থেকে বিদ্যাধরী নদীর নৌকাঘাট অবধি প্রায় ৩ কিমি রাস্তা গোটাটাই
জলের তলায়। কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটু, আবার কোথাও তার চেয়েও উঁচুতে জল।
খালি পায়ে সেই জল ভেঙে যখন নৌকাঘাটে পৌঁছলাম তখন সেখানে একটিও নৌকা নেই।
আমার তো মাথায় হাত। এই নদী পেরোব কেমন করে? একেই তো আমি সাঁতার জানি না,
অবশ্য সাঁতার জানলেও এই ভয়ংকর বিদ্যাধরী সাঁতরে পেরোনোর কথা কেউ ভাবতেও
পারবে না। দুদিন আগে দেখা শান্ত নিস্তরঙ্গ বিদ্যাধরীর এখন অন্য রূপ। বড়
বড় ঢেউ নিয়ে ফুঁসছে আর পারে আছড়ে পড়ছে। তবে হাল ছাড়লে তো চলবে না, আমাকে
পেরোতেই হবে। তাই একজন স্থানীয় মানুষের কাছে যখন খবর পেলাম যে একটু
এগোলেই নদীতীরে একজন মাঝির ঘর পাব, আমি সেদিকেই হাঁটতে শুরু করলাম।
১০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম হাসেম - কাশেমের ঘর। ওটা ওদের দুজন বাপ -
ব্যাটার ঘর। অত্যন্ত দরিদ্র অবস্থা। তার মধ্যেও আমাকে বসতে দিল। নদী
পেরোতে নিষেধ করল। আমি বারবার আমার অসহায় অবস্থার কথা বলে শেষ অবধি ওদের
রাজি করালাম নৌকা করে ওপারে পৌঁছে দেবার জন্য। সেজন্য ওদের চাহিদা মত ১০০
টাকা ভাড়া দিতেও এককথায় রাজি হয়ে গেলাম।
তারপর শুরু হল এক অসম লড়াই। প্রকৃতির তান্ডবের সঙ্গে দুজন মানুষের লড়াই।
আমি প্রত্যক্ষদর্শী। আমি নৌকার মাঝখানে নৌকার দুই কিনারে লাগানো কাঠের
পাটাতন শক্ত করে ধরে বসে আছি। কাশেম দাঁড় বাইছে। হাসেম ধরেছে হাল। আমার
জীবন ওদের হাতে সমর্পণ করে একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরের নাম জপছি। নৌকা একটু
এগোয় তো আবার খানিকটা পিছিয়ে আসে। নৌকা যে কতবার উল্টোতে উল্টোতে বেঁচে
গেল তার ইয়ত্তা নেই। অবশেষে প্রায় ৪৫ মিনিটের অমানুষিক পরিশ্রমের পর
আমাদের তিনজনের অনেক সৌভাগ্যকে সঙ্গী করে নৌকা ওপারে পৌঁছল। আমি ওপারে
নৌকা থেকে নেমে ওদের ১০০ টাকার পরিবর্তে ১৫০ টাকা দিলাম। ওদের তো আবার
ওপারে ফিরতে হবে। বললাম 'সাবধানে যেও।'
তখন বেলা ১১ টা। আমি সকাল থেকে ভিজেই চলেছি। নবজন্ম পাওয়ার পর ক্ষুধার
তাড়না অনুভব করলাম। ন্যাজাটের সেই ভাতের হোটেলের একতলা জলমগ্ন। উনুন,
বাসন-কোসন দোতলায় তুলে কোনরকমে রান্নার ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানে যা পেলাম
(ভাত, আলুভাতে, ডিমসিদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু নেই) পেটভরে খেয়ে নিলাম, কারণ
সামনে দীর্ঘ সংগ্রাম। বেঞ্চে বসে খানিকটা বিশ্রামও নিয়ে নিলাম। এরপর বেলা
বারোটার পর উঠে আবার জল ভেঙে বাসরাস্তায় হাঁটতে শুরু করলাম। জলস্তর
থাইয়ের উপর, প্রায় কোমরের কাছে। বৃষ্টি তখন ধরেছে। কিন্তু আকাশটা ঘোলাটে
হয়ে আছে। সঙ্গের ব্যাগ, জামা-প্যান্ট সব ভিজে সপসপে। তাই নিয়েই হাঁটছি।
অবশ্য আমি একা নয়, আরো অনেকেই হাঁটছে। প্রায় প্রত্যেকেই আমার মত কাকভেজা
অবস্থাতেই রয়েছে।
অন্তত আধঘন্টা হাঁটার পর বুঝতে পারলাম জলস্তর ধীরে ধীরে কমছে। কোমর জল
থেকে কমতে কমতে যখন গোড়ালির কাছে জলস্তর পৌঁছল ততক্ষনে আড়াই ঘন্টার
কাছাকাছি হাঁটা হয়ে গেছে। আরো আধঘন্টাটাক হাঁটার পর জলছাড়া রাস্তা পেলাম।
তার একটু পরেই দেখলাম রাস্তার পাশে একটা বাস দাঁড়িয়ে আছে। ওহ শান্তি! এ
যাত্রায় মনে হয় বেঁচে গেলাম। হতক্লান্ত শরীরটাকে টেনে বাসে চড়লাম,
সৌভাগ্যবশত বসার জায়গাও পেয়ে গেলাম। তারপর সেই বাসে করে বসিরহাট হয়ে
বারাসত, সেখান থেকে ট্রেনে করে এসে দমদমে নামলাম রাত সাড়ে দশটায়। এরপর
শেষ ডানকুনি লোকাল ধরে রাত সাড়ে এগারোটার পর যখন বালির বাড়িতে পৌঁছলাম
তখন আমার হাত-পা-মুখ-চোখ সব ফ্যাকাশে সাদা হয়ে গেছে। বাড়িতে পৌঁছেই
অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম। তারপর প্রবল জ্বর ও ডাবল নিউমোনিয়া। চিকিৎসা করিয়ে
সুস্থ হতে প্রায় মাস খানেকের ধাক্কা।
একটাই সান্ত্বনা, দেড় মাস পরে যখন আবার সন্দেশখালি গেলাম ঐ প্রজেক্টের
কাজ শেষ করতে তখন হাসেম-কাশেম, ডাক্তার ভাই ও দুই নার্স দিদি সবাইকেই
সুস্থ দেখতে পেয়ে বড় আনন্দ হয়েছিল। ওরাও আমার জ্বরের খবর শুনে দুঃখ পেলেও
তারপর সুস্থ হয়ে গেছি দেখে খুব খুশি হয়েছিল। ওদের কাছে তখন শুনলাম যে
পাঁচদিন জল ফুটিয়ে খেতে হয়েছে ও শেষদিন শুধু ফেনাভাত নুন দিয়ে খেয়েছিল।
আর দেখলাম পরিত্যাক্ত কোয়ার্টারের ছাদ ভেঙে পড়ে গেছে।