বিচারের অপেক্ষায়

অঞ্জনা কুন্ডু দত্ত (শিক্ষিকা),

গড়িয়া, কলকাতা

শিশু থেকেই আমাদের জীবনে অপেক্ষা করা শুরু হয়।একজন শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে থেকেই অপেক্ষা করে পৃথিবীর আলো দেখার।তেমন ই তার মা ও অপেক্ষা য় থাকেন গর্ভাবস্থার ব্যাথা যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবেন।সব ই ঈশ্বরের বিচারের অপেক্ষায়। আবার শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর চাকুরীরতা মা ভাবতে থাকেন কবে একটু বড়ো হবে এবং তাঁকে কারো কাছে রেখে আগের মত কাজ কর্মে যেতে পারবেন।এই এক ই অপেক্ষা শিশুর মনে হয় মা কতক্ষণ তার কাছে থাকবে? মা কখন আসবে তার কাছে? মা হয়তো, শিশুর এই অপেক্ষার আক্ষেপ গুলো বুঝতেই পারেন নি। কিন্তু সেই শিশু বুঝতে শেখে তখন বোধহয় "বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে"। কারণ তার মায়ের ঐ কাজ বা চাকরী শৌখিনতার জন্য দরকার ছিল।তার জন্য নয়।

কারো হৃদয়ে আঘাত দিয়ে আমরা ভেবে নিই আমি বিজয়ী। কিন্তু সময়ের পাতা যখন উল্টাই বা অপেক্ষা করি তখন হিসাব কিন্তু ঠিক মিলেই যায়। কারো কান্নাকে উপহাস করে নিজেকে খুব শক্তিশালী ভেবে নেয় মানুষ। কিন্তু ভুললে চলবে না যে দুঃখের অশ্রু বৃথা যায় না, তার ওজন তোমাকে ব ইতে হবে। বিশ্বাস ভেঙে প্রতারণার জাল বুনছো? নিজেকে মুক্ত ভাবছো? সময় তার পথ চেনে, একদিন অপেক্ষার সেই পথেই তুমি আটকে যাবে। তাই কবির ভাষায় বলি-- যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু নিভাইছে তবে আলো, তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ তুমি কি বেসেছ ভালো?