ভূতের কেত্তন

অনিন্দিতা গুড়িয়া,

নিউ-দিল্লি

একানড়ে নড়বড়িয়ে নড়ে নড়ে চলে
মামদো ভূতে নিশুত রাতে ডাঙ্গুলি ঐ খেলে।
ব্রহ্মদত্তির পূজা পাঠে বেজায় ভাব ভক্তি
অমাবস্যার রাতে নাকি ভূতের বারে শক্তি!
শাঁকচুন্নি ঠেঙ দুলিয়ে শেওড়া পেড়ে খায়
নেকো সুরে পেত্নী গুলি ভূতকোষ রাগ গায়।
স্কন্ধ কাটা হাতড়ে ফেরে ধাক্কা একে ওকে
নেতা ভূতটা একনাগাড়ে যাচ্ছে শুধু বকে।
আজকে রাতে জলসা হবে ঝাঁকড়া তেঁতুল গাছে
পোড়ো মন্দির রায় বাবুদের শানের ঘাটের কাছে।
নর্তকী ভূত সেজেছে খুব মাথায় কচুরিপানা,
গোবর নিয়ে ক্রিম মেখেছে নাচতে তাধিন ধিনা।
বাঁশবনের মচমচানি কনসার্ট বাজে শোনো
উদ্বোধনী ভূত সংগীত গাইছে সুরে খেঁনো
আরব থেকে উড়ে এসেছে শেখ ভূতের নানা
সালসা হিপ্ হপ্ নাচ দেখাবে আরবি ভূতের ছানা।
কোটের তলায় প্যান্ট গলিয়ে বেল্টটি খুঁজে মরে
সাহেব ভুতের বিষম জ্বালা কেমনে প্যান্ট পরে।
হাড়ে হাড়ে ঠকঠকানি খনখনানি গলায়
কঙ্কালেরা তালটি ঠুকে সুর ধরেছে বেজায়।
কন্ঠী গলায় শ্রীখোল নিয়ে কীর্তনীয়া ভূত
গাইতে এলো আসর মাঝে দেখে সবাই চুপ
এক নিমেষে ভ্যানিস হলো হরি নামের ভয়ে
রক্ষে নেই কো ও নাম শুনলে তাই গেছে পালিয়ে।।