বর্ষাকালে

অনিন্দিতা গুড়িয়া,

নিউ-দিল্লি

বারো মাসে ছয়টি ঋতু গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ
হেমন্ত শীত বসন্ত আর কখনো বৃষ্টি রোদ।

প্রতিটি ঋতুর স্থায়িত্ব দুইটি মাস করে
দ্বিতীয় ঋতু বর্ষা আসে আষাঢ় শ্রাবণ ঘিরে।

বর্ষা মানে বৃষ্টিধারা কালো মেঘে ঢাকা আকাশ
মাঠে মাঠে চলছে এখন আমন ধানের চাষ।

দমকা হাওয়ায় দোর খুলে যায় পাই যে ভীষণ ভয়
মা কে তখনই আঁকড়ে ধরি, যখন বিদ্যুৎ চমকায়।

বাদলা রাতে অন্ধকারে হাজার জোনাকি
ঠিক যেন সব ছোট্ট তারা কেউ দেখেছো কি!

হাসনুহানা বেলি চামেলী কদম বকুল জুথি
বর্ষার ফুল গন্ধরাজ শাপলা কেতকী।

ধুপ্-ধাপ্ পড়ে পাকা তাল, ছোঁক-ছাঁক করে পিঠে
চোঁক- চাঁক আওয়াজ ইলিশ ভাজার, গন্ধ মিঠে মিঠে।

পাকা কাঁঠালের গন্ধে ম ম এ পাড়া ওপাড়া
আঁশফল আম ডেঁও জামরুল বাজার মন কাড়া।

এই সময়ে স্নানযাত্রা রথ যাত্রার মেলা
কাদামাখা আর বৃষ্টি ভেজা দারুন মজার খেলা।

পথে ঘাটে বিষম কাদায় খাচ্ছে লোকে আছাড়
সাপ ব্যাঙ আর জোঁক শামুকের বসেছে যেন বাজার।

বৃষ্টি যদি অল্প হয় ফলবে না ভালো ফসল
অধিক বৃষ্টিতে বন্যা আসে লোকালয়ে ভরে জল।

বর্ষাকালে ঘরে ঘরে হয় যে সর্দি কাশি
সুখ- দুঃখের মাঝেই আমি বর্ষা ভালোবাসি।।