অপূর্ণতা
অগ্নিভ রায় ,
শিলিগুড়ি
আমি চেয়েছিলাম—
মেঘের মতো, আকাশের ছায়ায় ভেসে বেড়াতে ,
কিন্তু ভালোবাসার রোদের উষ্ণতা
কখনও আমাকে ছুঁয়ে যায়নি।
আমি ছিলাম বিকল্প,
একটি উপায়, একটি নামহীন ঠিকানা।
তবু কখনও হয়ে উঠতে পারিনি
তোমার হৃদয়ের একমাত্র বাসিন্দা।
আমি ছিলাম "সম্ভবত,"
কোনো এক দ্বিধার অসম্পূর্ণ রেখা।
তোমার চোখে খুঁজেছিলাম নিজের প্রতিচ্ছবি,
কিন্তু সেখানে ছিল শুধু শূন্যতার ধাঁধা।
আমি সেই গান,
যা অর্ধেক গাওয়া হয়েছিল,
যে গল্পে শেষ লাইন লেখা হয়নি।
তবু সেই অপূর্ণতায় লুকিয়ে আছে
আমার আত্মার শেষ আভাস।
আমি হারিয়ে যাই—
একটি নামহীন, ঠিকানাহীন কবিতার মতো।
এই বছরের অন্তিম প্রান্তে
অগ্নিভ রায় ,
শিলিগুড়ি
এই বছরের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়ে,
মন চুপিসারে হিসাব মেলায়—
কত কিছু পেলাম, আর কত কিছু হারিয়ে গেল।
যা পেলাম, তা যেন রোদ্দুরের মতো,
উষ্ণতা আর আনন্দে ভরা।
আর যা হারালাম,
তা কুয়াশার মতো—
অস্পষ্ট, মিশে থাকা বিষাদের ধোঁয়ায়।
সুখের স্মৃতিগুলো যেন
দীপ জ্বালায় জীবনের প্রতিটি কোণে,
আলোর রশ্মিতে ভরে তোলে প্রাণ।
তবে, হারানোর বেদনাগুলো
ডুবিয়ে রাখে গভীর এক অন্ধকারে,
যেখানে কেবল নীরবতা কাঁদে।
এই প্রাপ্তি আর বিসর্জনের কাব্যে
জীবন যেন তার গান গায়।
আমরা সামনে এগোই,
ভবিষ্যতের অজানা আশার দিকে তাকিয়ে।
এ বছর যেমন ছিল,
পরের বছর হয়তো নতুন কোনো রোদ্দুর,
আর কিছু কুয়াশার কণায় লেখা থাকবে আমাদের গল্প।
সেই তুমি
অগ্নিভ রায় ,
শিলিগুড়ি
সে ছিল সুন্দর,
ম্যাগাজিনের ছবির মতো নিখুঁত নয়,
সৌন্দর্য লুকিয়ে ছিল তার ভাবনার গভীরে।
সে ছিল সুন্দর,
চোখের তারায় জ্বলছিল আলো,
যেন স্বপ্নেরা নেচে বেড়ায় তার দৃষ্টির ভাঁজে।
সে ছিল সুন্দর,
যখন আপন মনে বলত প্রিয় কোনো কাহিনি,
শব্দে ঝরে পড়ত ভালোবাসার রং।
সে ছিল সুন্দর,
অন্যের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলত,
যখন নিজের মনেই ছিল নীরব কান্না।
না, তার সৌন্দর্য ছিল না ক্ষণস্থায়ী,
মলিন হবার মতো ত্বকের রঙে বাঁধা নয়।
সে ছিল সুন্দর,
আত্মার গভীরে, হৃদয়ের স্পন্দনে।
সে আজও সুন্দর,
সমগ্র অস্তিত্ব জুড়ে।