অভিমানিনী

অনিন্দিতা গুড়িয়া ,

নিউ-দিল্লি

পরশ তব কাঙ্ক্ষিত খুব হৃদয় প্রত্যাশী
আর পারিনা বইতে জীবন
এসো তুমি বঁধু অরূপ সঘন
করে আছি দুই বাহু প্রসারিত আকুল দিবা- নিশী
পরশ তব কাঙ্ক্ষিত খুব হৃদয় প্রত্যাশী।।

তপ্ত তনু আশ্রয় চায় শীতল তব বক্ষে
নিদাঘ দিবস নিঠুর রাত্রি
বহেনা বাতাস এক রত্তি
বিন্দু মাত্র আরাম নেইকো বাহিরে কিম্বা কক্ষে
তপ্ত তনু আশ্রয় চায় শীতল তব বক্ষে।।

ওই শোনা যায় মৃদুল হরষে চপল চরণ ধ্বনি
শন শন শন বায়ু বহে বেগে
মৃদু গর্জন শুনি মেঘে মেঘে
হিল্লোল আসে মৃদু তরঙ্গে নির্ঝর তোটিনি
ওই শোনা যায় মৃদুল হরষে চপল চরণ ধ্বনি।।

ওলো তোরা আয় সযতনে সাজা বরণের ডালাখানি
বঁধুয়া আমার এলো বুঝি ওই
বাজারে শঙ্খ উলুধ্বনি কই
ত্বরা কর তোরা, বুঝি দেরি দেখে ফিরে যাবে অভিমানী
ওলো তোরা আয় সযতনে সাজা বরণের ডালাখানি।।

মেঘমল্লারে বাজিছে সানাই পিনাক বেজেছে ওই শোনো
বকুলে কদমে ভরা আছে ডালি,
বাসরে সাজানো কেতকীর কলি
শম্পা খচিত মেঘরঙা শাড়ি চম্পা আতরে মাখানো
মেঘমল্লারে বাজিছে সানাই পিনাক বেজেছে ওই শোনো।।

সলাজ নয়নে ধীর পায়ে এলো, চকিতে ফিরল অভিমানি
নাই রাখা দ্বারে সবুজের সারি
আছে ইমারত নামি দামি গাড়ি
কেঁদে কেঁদে ফেরে তৃষিতা চকরী, বিমুখ বর্ষা রানী-
সলাজ নয়নে ধীর পায়ে এসে চকিতে ফিরল অভিমানি।।